আজ বৃহস্পতিবার, ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মশা কি সব মরে গেলো

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
এমপি সাবের (সাহেব) দেওয়া মশা মারার মেশিন দিয়া একদিনেই সব মশা মাইরা লাইছে। ঐ যে একদিন লম্বা নাক ওয়ালা মেশিনডা (ফগার মেশিন) দেখলাম, এরপর মনে অয় হেই মেশিনডা আবারও এমপি সাব ফিরত নিছে। এমন অদ্ভুদভাবেই কথা বলছিলেন কাশিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আম্বিয়া। কৌতুহল কমাতে কেনো এমন কথা প্রশ্ন করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, যেখানে ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য প্রতিনিয়ত অভিযান চালানোর কথা সেখানে মাত্র দু-একদিন ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে ছিটিয়ে দায় সেরেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।

ডেঙ্গু ইস্যুকে কেন্দ্র করে সারাদেশেই মশক নিধন অভিযান জোরদার হলেও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে দেখা যাচ্ছে না এ ধারাবাহিক কার্যক্রম। তাই স্থানীয়রা প্রশ্ন ছুড়েছেন মশা কি সব মরে গেলো? তবে দক্ষ জনবলের অভাবে কার্যক্রম জোরদার করতে পারছে না বলেই সূত্রে জানা যায়।
গত ৩০ জুলাই সদর উপজেলা থেকে ৭টি ইউনিয়নে ৭টি ফগার মেশিন ও মশক নিধন ঔসুধ বিতরণ করেন সাংসদ শামীম ওসমান। সেই ফগার মেশিন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা ডাক ঢোল পিটিয়ে নিধনের উদ্বোধন করলেও কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো না ১০দিনও। ইউনিয়ন গুলোর কোন কোন এলাকায় দুইবার আবারও কোন এলাকায় একবার দিয়েই অভিযান শেষ করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, সকল এলাকাতেই কার্যক্রম চলছে, এতো বড় ইউনিয়ন একটা মেশিনে হয় না। আর মেশিন চালানোর জন্য নিজস্ব লোক টেনিং দিয়ে তাদের দিয়ে স্প্রে করাচ্ছি। আমার নিজস্ব অর্থায়নে আরও একটি মেশিন কিনবো।
এ বিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে ফোন দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কল রিসিভ করেননি। কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদল ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশেদ আলীর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ সংবাদ